মোঃ জাকিউর রহমান, ঢাকা প্রতিনিধি:-

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন হচ্ছে দিনটি। ১৯৭১ সালের সেই ৭ই মার্চের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগ এক বিশেষ চলচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

৭ই মার্চ সোমবার ২০২২ইং রাত ১০ঃ০০ ঘটিকায় ঢাবির অমর একুশে হলের নন্দনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র “আগুণের পরশমণি” প্রদর্শিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ ও হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ সাধারণ শিক্ষার্থীগণ।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। মূলত সেদিনই স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ লক্ষাধিক লোকের সমাবেশে পাকিস্তানি শাসকের হুমকির মুখেও রেসকোর্স ময়দানে ২৩ বছরের বঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। তাঁর ১৮ মিনিটের অসামান্য ভাষ‌ণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় মেলে। সেই দিন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ নতুন জীবনের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়। মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মপন্থা-কৌশল তুলে ধরেন, দেন সঠিক দিকনির্দেশনা। ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের উপর আমার অনুরোধ রইল- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’

ইতিহাসের সেই অমর মহাকাব্য স্মরণে আজকের এ চলচিত্র প্রদর্শনী বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন বলেন-“ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙ্গালীকে মুক্তি সংগ্রামের জন্য উজ্জীবিত করেছিলো। মূলত এই দিনেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই তো কবি তার কবিতায় লিখেছেন সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের। এ ভাষণ এখনও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। এই ঐতিহাসিক ভাষণ ও ৭ই মার্চ স্মরণে আমরা অমর একুশে হল ছাত্রলীগ এই বিশেষ চলচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছি। আমরা চাই অমর একুশে হলের প্রতিটি শিক্ষার্থী মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ও সঠিক ইতিহাস জেনে সামনে এগিয়ে যাক এবং অন্তরে লালন করুক ৭ই মার্চের সেই মহাকাব্যের কবি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।”

অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ বলেন-“শোষিত ও বঞ্চিত বাঙ্গালীকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যেভাবে উজ্জীবিত করেছিলো তা আর পৃথিবীতে দ্বিতীয় নজির নেই। এই এক ভাষণ যা কোটি কোটি বাঙ্গালীকে মুক্তির জন্য ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। তাই এ ঐতিহাসিক দিনে আমরা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র আগুনের পরশমণি প্রদর্শন করেছি। আমাদের প্রত্যাশা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এসবের মাধ্যমে আরো বেশি করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে এবং বঙ্গবন্ধুকে জানার ক্ষেত্রে আরো বেশী আগ্রহী হবে।”